প্রতি পাচ বছর পর পর ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য রক্তপাত, দেখতে চাই না। শান্তি চাই।

পরিবারতন্ত্র /রাজতন্ত্র নিপাত যাক।    গণতন্ত্র মুক্তি  পাক।

আপনার কণ্ঠস্বর আমাদের আন্দোলন।

বাংলাদেশ মিসকিন পার্টি জনগণের ন্যায্য অধিকার, ভোটাধিকার  আদায়ের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি,  Checks and Balances এর ভিত্তিতে  প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলেই,  জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।

অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলেই প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবে না( প্রেসিডেন্ট ডাক্তার বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে যেমন করা হয়েছিল)।আবার প্রেসিডন্ট ইচ্ছে করলেই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের বরখাস্ত করতে পারবে না। আবার প্রধানমন্ত্রী/ রাস্ট্রপতি ইচ্ছে করলেই বিচারপতিদের বয়সসীমা বাড়াতে কমাতে পারবে না।

আমাদের দাবী,-

১. রাস্ট্রপতি / প্রধানমন্ত্রী পদে একই ব্যাক্তি সর্বোচ্চ পাচ(০৫) বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে।

২. রাস্ট্রপতি/ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন -(ক) ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, (খ) সংসদ সদস্য (গ) বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের ভোটে। প্রেসিডন্ট নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক ব্যাবহার করা যাবে না।

সকল জেলার প্রতিনিধি,  বিভিন্ন ধর্মীয় / বর্নীয় / গোত্রীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একশত(১০০) সদস্য বিশিষ্ট সিনেট কমিটির সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), RAB, নির্বাচন কমিশন, বিচারপতি,  ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ ও পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে প্রেসিডেন্ট এর হাতে।

৩. প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ব্যাবধান থাকবে আড়াই(২.৫) বছর। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আড়াই(২.৫) বছর পর হবে সংসদ নির্বাচন।

৪. প্রেসিডন্ট / প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল ব্যাক্তি কোন রাজনৈতিক দলের সভাপতি পদে বহাল থাকতে পারবে না। অর্থাৎ  প্রেসিডন্ট / প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার আগে তাকে দলীয় সভাপতির পদে পদত্যাগ করতে হবে।

৫. প্রেসিডন্ট ইচ্ছে করলেই সংসদ ভেঙ্গে দিতে,  মন্ত্রী পরিষদ বরখাস্ত করতে পারবে না। আবার

প্রধানমন্ত্রী, সংসদ ইচ্ছে করলেই প্রেসিডন্ট এর পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না।


Contact us


latest news


বাংলাদেশ মিসকিন পার্টি

আমাদের মূল লক্ষ্য হল, সংবিধানের সংস্কার করে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা  করা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে, প্রতি পাচ বছর পর পর ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের প্রয়োজন হয়েছে। ১৯৭৪ সালে প্রেসিডন্ট শেখ মুজিবর রহমান জীবন দিয়েই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। ১৯৯০ সালে বহু রক্তক্ষয়ের পরেই প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।  ১৯৯৬ সালে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরেই প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। ২০০৪ (২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা) ও  ২০০৬  সালে রক্তক্ষয় ঘটিয়েই প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। ২০২৪ সালে হাজারো ছাত্রজনতার রক্তে গোসল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। এভাবে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরে প্রতি পাচ বছর পর পর এক ব্যাপক রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছে (২০০১ সাল বাদে)।

আমরা আর রক্তপাত দেখতে চাই না।

আমরা চাই, প্রেসিডন্ট,  প্রধানমন্ত্রী,  ও বিচার বিভাগের মধ্যে  Checks and Balances এর ভিত্তি তে সংবিধান সংস্কার করে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।

আমরা দেখেছি বর্তমান সংবিধানে Checks and Balances বিষয়টি নাই। প্রধানমন্ত্রী যখন তখন জোড় করে রাস্ট্রপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন। এ ব্যাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে, রাষ্ট্রপতি  ডাক্তার বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে জোড় করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।

এর পূর্বে রাস্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যাবস্থার সময়ে দেখেছি, কদিন পর পর সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হত। প্রধানমন্ত্রী,  মন্ত্রীদের বরখাস্ত করা হত।  এ ব্যাবস্থা কখনই গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা হতে পারে না। এ ব্যাবস্থা হল গনতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরতন্ত্রী ব্যাবস্থা।

এ ব্যাবস্থায় যে একবার ক্ষমতায় বসতে পারে, সে আর ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না। বরং ব্যাক্তিগত লুটপাটের জন্য সরকারী আমলা শ্রেনীকে ব্যাবহার করে।

এ ব্যাবস্থায় সরকার দলীয় নেতারা ও আমলারা লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে ( সুইশ ব্যাংক, কানাডা, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়শিয়া)  পাচার করেছে।

IMF, World Bank,  ADB থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে ঋন এনেছে; ঋনের টাকা দেশের উন্নয়নে ব্যায় না করে বিদেশে পাচার করেছে।

আমাদের জন্মভূমি, আমাদের দেশ,  এই লুটেরাদের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের।

তাই আমাদের দাবী,-

১. একই ব্যাক্তি পাচ(৫) বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী / প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকতে পারবে না।
কারন,-
প্রধান মন্ত্রী/ প্রেসিডেন্ট পদে পাচ বছরের বেশি সময় বহাল থাকার সুযোগ থাকলে, বহাল প্রধানমন্ত্রী /প্রেসিডেন্ট আর ক্ষমতা ছাড়তে ইচ্ছুক হয়ে ওঠে না।
তখন তারা ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার জন্য জনগনের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে ( ইলেকশন ইন্জিনিয়ারিং, ভোট চুরি) র পথ খোজে।
তাই,-
পাচ বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী /প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকা যাবে না মর্মে সাংবিধানিক আইন পাশ হলে, ভোট চুরি,জালিয়াতি, ভোট ইন্জিনিয়ারিং প্রথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাবে।

তখন
ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য পাচ বছর পর পর
রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না।
জ্বালাও পোড়াও জনগনের/ সরকারি সম্পদ ধ্বংসের প্রয়োজন হবে না।
ঘুষ চুরি লুটপাট বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।
কারন যখনই শাসক বুঝবে যে, পাচ বছর পর আর তার ক্ষমতা থাকবে না, দুর্নীতির তদন্ত বিচার হবে, তখন শাসক আর ঘুষ চুরি দুর্নীতি করবে না।

কাজেই জনগনের ভোটের অধিকারের স্বার্থে,
জনগনকে প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য,
আমাদের দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষনা করুন।

২. প্রেসিডেন্ট /ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত  হবেন, —
সংসদ সদস্য, ইউপি মেম্বর চেয়ারম্যান, ও বিশ্ববিদ্যালয় / কলেজ/ মাদ্রাসার রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট দের ভোটে।প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এ ব্যাবস্থা চালু হলে, প্রধানমন্ত্রী যখন তখন জোড় করে প্রেসিডেন্ট কে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবে না।

প্রতি জেলা থেকে জেলা প্রতিনিধি সহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয়, জাতীয় প্রতিনিধি দের সমন্বয়ে একশত(১০০) জন সদস্য বিশিষ্ট একটা সিনেট কমিটির সভাপতি হবেন প্রেসিডেন্ট।
বিচারপতি নিয়োগ, দুদক, RAB, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সংসদ নির্বাচন পরিচালনা প্রেসিডেন্টের হাতে ন্যাস্ত থাকবে।

৩. প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা করলেই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে পারবে না। মন্ত্রীপরিষদ ভেঙ্গে দিতে পারবে না। আবার প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলেই প্রেসিডন্ট এর পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না।

৪. প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন, ও সংসদীয় নির্বাচনের মধ্যে সময়ের ব্যাবধান রাখতে হবে আড়াই(২.৫) বছর।অর্থাৎ প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আড়াই(২.৫) বছর পর হবে সংসদ নির্বাচন। এতে মানুষ আবেগপ্রবন হয়ে একই মতাদর্শের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কে নির্বাচিত করবে না।

গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে, দেশ থেকে লুটপাট ঘুষ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।

আমেরিকায় (USA) প্রেসিডেন্ট, সিনেট, ও বিচার বিভাগ, এই তিন সেক্টরের সমন্বয়ে চমৎকার Checks and Balances পদ্ধতির সরকার ব্যাবস্থা চালু রয়েছে,  বিগত চারশত বছর ধরে। এবং এখানে দুই টার্মে আট(৮) বছরের বেশি কোন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এটাই সাংবিধানিক আইন।

বৃটেনে রাজা তার প্রজাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় সংসদ নির্বাচনের সুযোগ দিয়েছেন। রাজা ও সংসদের মধ্যে চমৎকার Checks and Balances সিস্টেম চালু থাকায় এখানে কোন সংবিধানের প্রয়োজন পরে না।

মালয়শিয়াতেও রাজা ও সংসদের মধ্যে চমৎকার Checks and Balances সিস্টেম চালু আছে।

ইরানেও ধর্মীয় নেতা খামেনীর সুরা কমিটি ও গনভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এর মধ্যে চমৎকার Checks and Balances সিস্টেম চালু আছে।

পৃথিবীর প্রতিটা উন্নত দেশেই Checks and Balances সিস্টেমের সরকার ব্যাবস্থা চালু আছে।

কিন্তু

বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, মায়ানমার সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সংবিধানে এই Checks and Balances সিস্টেম রাখা হয় নাই।

বাংলাদেশে যখনই যে ক্ষমতায় এসেছে, তখনই সে একনায়কতন্ত্র /রাজতন্ত্র চালু করতে চেয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সহজ না রেখে জটিল করার কারনে;

প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবর রহমান, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছে।

এছাড়া প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কেও হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করাতে হয়েছে।

আমরা আর রক্তপাত চাই না। সংবিধান সংস্কার করে, ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সহজ করতে চাই।

আমাদের মূল উদ্দেশ্য

ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা

  • প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ কাল পাচ বছরে সীমাবদ্ধ রাখা।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আড়াই(২.৫) বছর পর সংসদ নির্বাচনের ব্যাবস্থা রাখা। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হবে আড়াই(২.৫) বছর।  এ প্রক্রিয়া বহাল হলে মানুষ আবেগ প্রবন হয়ে একই সময়ে একই মতাদর্শের প্রেসিডেন্ট / প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে না। আমেরিকা(USA) চার বছর মেয়াদী প্রেসিডেন্ট ও সিনেট নির্বাচনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান দুই(২) বছর।অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই(২) বছর পর সিনেট নির্বাচন হয়।

  • প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক ব্যাবহার করা যাবে না।
  • প্রেসিডন্ট / ভাইসপ্রেসিডেন্ট/ প্রধানমন্ত্রী / স্পীকার পদে অধিষ্ঠিত ব্যাক্তি  একই সঙ্গে  কোন রাজনৈতিক দলের সভাপতি / সাধারন সম্পাদক পদে বহাল থাকতে পারবে না। অর্থাৎ প্রেসিডন্ট / প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে,  দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা

সকলের জন্য সমান সুযোগ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। অতীতে দলীয় সরকার দলীয় বিচারপতি নিয়োগ করে,  বিচার ব্যাবস্থাকে অবিচারের কারখানায় পরিনত করেছিল। এ প্রক্রিয়ায় জাল সনদধারী ফয়সল মাহমুদ ফায়েজীকে বিচারপতি নিয়োগ করে বিচার ব্যাবস্থাকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

আমাদের দাবী বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে হবে।  এবং বিচারপতি নিয়োগ কার্যক্রম নির্দলীয় প্রেসিডেন্ট এর হাতে ন্যস্ত করতে হবে।

শিক্ষা ব্যাবস্থায় ব্যাপক সংস্কার করতে হবে।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত শ্রেনী আন্তর্জাতিক চাকুরীর বাজারে ঢুকতে পারছে না। এমএ পাশ করার পর আবারও একজন ছাত্রকে  দীর্ঘ সময় কোচিং করে TOEFL, IELTS, GRE, GMAT, SAT করে উন্নত বিশ্বে পড়তে পারার জন্য উপযুক্ত হতে হচ্ছে। এরপর উন্নত বিশ্বে দীর্ঘদিন পড়াশোনা করে গ্রাজুয়েশন নিয়েই ,একজন ছাত্র আন্তর্জাতিক শ্রম মার্কেটে ঢুকতে পারছে। আন্তর্জাতিক চাকরীর বাজারের সাথে মিল রেখে শিক্ষা ব্যাবস্থায় সংস্কার করতে হবে।

মাদ্রাসার শিক্ষার আধুনিকায়ন করতে হবে। মাদ্রাসাগুলোতে ক্রমান্বয়ে বিজ্ঞান শিক্ষা( চিকিৎসা, কম্পিউটার, নার্সিং,  ইন্জিনিয়ারিং)  অনুষদ  ও বানিজ্য অনুষদ খুলতে হবে।

Public Service Commission (PSC) সহ সকল নিয়োগ বোর্ডের সংস্কার

আমাদের দাবী,-

কাজ করতে পারবে যে; চাকুরীতে নিয়োগ পাবে সে।

বর্তমান ব্যাবস্থায় প্রায় প্রতিটা অফিসেই,  মাস্টাররোল, অস্থায়ী কর্মচারী,  ক্ষণস্থায়ী ক্লীনার নামে কিছু কর্মী অফিসের যাবতীয় কাজ( কম্পিউটার অপারেট, লেজার ডেবিট, বিল প্রস্তুত)  করে থাকে। অফিসের স্থায়ী কর্মকর্তারা তাদের কম্পিউটার পাসওয়ার্ড এদের হাতে দিয়ে,  নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে চায়ের টেবিলে খোশগল্পে মেতে থাকে। এমনকি অনেক সময় অফিস শেষে এই অস্থায়ী স্টাফদের দিয়ে তারা বাসার বাজার গৃহস্থালি কাজ ও করিয়ে নেয়। বিনিময়ে তাদেরকে আশ্বাস দেয়া হয় যে, তাদের চাকুরী স্থায়ীকরনের ব্যাবস্থা করা হবে।

এভাবে প্রতিটা অফিসেই একটা সেবাদাস নিষ্পেষিত শ্রমিক শ্রেনী রয়েছে।

আমাদের দাবী, প্রতিটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকুরীর পর কি কি কাজ করতে হবে তার Job discription থাকতে হবে। Job discription অনুযায়ী চাকুরী প্রার্থীর কর্মযোগ্যতা যাচাই করতে হবে। এভাবেই নিয়োগ পরীক্ষার বোর্ড সাজাতে হবে।

বর্তমানে উচ্চশিক্ষিত ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়া হয়। রাস্তার ট্রাফিক লাইট নস্ট হয়ে গেলে তারা মেরামত করতে পারে না। মেরামতের জন্য মাস্টাররোল কর্মী বা বাইরে থেকে এক্সপার্ট ডাকতে হয়।

তাই আমাদের দাবী,

কাজ করতে পারবে যে; চাকরী পাবে সে; বেতন পাবে সে।

প্রবাসীদের সুরক্ষার ব্যাবস্থা

দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই প্রবাসীরা যাতে প্রবাসে বসেই মাথা গোজার ঠাই বানানোর জন্য একটুকরা নিষ্কণ্টক নির্ঝঞ্ঝাট  সরকারী প্লট/ ফ্ল্যাট স্বল্পমূল্যে কিস্তিতে কিনতে পারে তার জন্য ব্যাবস্থা করতে হবে।  দুতাবাস কর্মকর্তারা হয়রানী করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য পৃথক অভিযোগ সেল, ও অনলাইন ওয়েবসাইট খুলতে হবে।

সামাজিক সমতা

দেশ চলবে মহানবী (সঃ) প্রনীত মদিনা সনদের ভিত্তিতে।  সকল ধর্ম বর্ন গোত্রের মানুষ ই সমান অধিকার, সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে।

ব্যাংক অফিস পাবলিক প্লেস এ  ভিআইপি প্রথা রহিত করতে হবে। স্পেশাল ব্যাবস্থার জন্য আলাদা ফিস, আলাদা কাউন্টারের ব্যাবস্থা করতে হবে।

কেন বাংলাদেশ মিসকিন পার্টি সেরা এবং ব্যতিক্রমী

জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি

আমাদের দাবী হল

পরিবারতন্ত্র / রাজতন্ত্র নিপাত যাক,

গনতন্ত্র মু্ক্তি  পাক।

প্রতি পাচ বছর পর পর রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার বিলোপ সাধন।

এজন্য  প্রেসিডেন্ট, প্রধান মন্ত্রী, ও বিচার বিভাগের মধ্যে Checks and Balances এর ভিত্তিতে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায়। যা অন্য কোন রাজনৈতিক দলে নাই।

ভূমি সংস্কার আইন

ত্রুটিপূর্ন ভূমি হস্তান্তর আইন। ও ভূমি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর দায়িত্বহীন কার্যকলাপ রোধে, যুগোপযোগী ভূমি সংস্কার আইন করতে হবে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা

আমরা সহিংসতা রোধ করে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন গ্রাম ওয়ার্ড পর্যায়ে একটা শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করার দাবী জানাই।  এতে অগ্নিনির্বাপক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরাও থাকবে। বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি কল দিলে এরা অতি দ্রুত সেখানে হাজির হবে।

মা বোন মেয়েরা যাতে নির্বিঘ্নে স্কুল কলেজ অফিস আদালতে যাতায়াত করতে পারে তার ব্যাবস্থা করতে হবে।

থানায় গেলে মামলা নেয় না, মামলা নিতে গড়িমসি,  ঘুষ দাবী, একটা পুরনো ব্যাধি। এ ব্যাধি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য, অনলাইনে অভিযোগ দায়েরের ব্যাবস্থা সম্বলিত ওয়েবসাইট খুলতে হবে।

জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন আধুনিকীকরণ

ক্রুটিপূর্ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া বহাল থাকায় আমাদের প্রায় সকল নাগরিকের দুই বা ততোধিক জন্মতারিখ রয়েছে। অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডে একরকম। স্কুল সার্টিফিকেট এ একরকম। মা বাবার ডায়রীতে একরকম। বর্তমানে নবজাতকের জন্ম হলে , নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের কাছে গেলে, সব সময় এই জবাব পাওয়া যায় যে, সার্ভার ডাউন- কারেন্ট নাই- সচিব অন্য কাজে বাইরে গেছে।

তাই আমাদের দাবী,-

জন্মনিবন্ধনের জন্যা অনলাইন ওয়েবসাইট খুলতে হবে। নবজাতক জন্মের পর পরই হাসপাতাল নার্সিং হোম থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।মোবাইল ফোন চেপেও এ কাজ করা যাবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন মেসেজ পাওয়ার পরই ইউপি সচিব/বা ইউনিয়ন হেলথকর্মী সরেজমিন যাচাই করে,  রেজিস্ট্রেশন এপ্রুভ করবে।

একইভাবে মৃত্যুনিবন্ধন ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন / এপ্রুভ করতে হবে।

বর্তমান কেয়ারটেকার সরকার কি সংবিধানের সংস্কার করতে সক্ষম

অবশ্যই সক্ষম। বর্তমান কেয়ারটেকার সরকার হল একটা বিপ্লবী সরকার। বিপ্লবী সরকার কখনই পুরনো সংবিধানের নিকট দায়বদ্ধ থাকে না।

বিপ্লবী সরকার সংবিধানের সংস্কার করে, প্রয়োজনে একটা গনভোটের আয়োজন করে সংবিধান সংস্কারকে আরো গ্রহণযোগ্য ভিত্তি দিতে পারে।

বাংলাদেশে এর আগে এরকম বিপ্লবী সরকার আর আসে নাই। ১৯৯১ সালে প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ভাইস প্রেসিডেন্ট  মোঃ শাহাবুদ্দিন এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন ফখরুদ্দীন আহম্মেদকে কেয়ারটেকার সরকার হিসেবে নিয়োগ দেয়।

কিন্তু ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারো কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করেই দেশ ত্যাগ করে। এরপর বিপ্লবীরা দুইদিন পরে একটা বিপ্লবী সরকার গঠন করে।পৃথিবীর কোন বিপ্লবী সরকারই তার পূর্ববর্তী সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ ছিল না।

অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

সংবিধানের সংস্কারের জন্য দল ও মত নির্বিশেষে সকল ধর্ম গোত্র পেশার লোজনের মতামত নেয়ার জন্য অনলাইন ওয়েবসাইট এ মতামত গ্রহনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে।

নির্বাচনের পর নির্বাচিত দলীয় সরকার সংবিধানের সংস্কার করলে কেমন হয়?

চরম ভাবে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই থেকে যায়।  ১৯৯০ সালে সর্বদলীয় বিরোধী জোট বহু আলাপ আলোচনা করে বিবিধ শর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার বিরোধী ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন সফল হয়ে নির্বাচনের পর যখন বিএনপি ক্ষমতায় এল তখন তারা পূর্ববর্তী সংস্কারের শর্তগুলো আর মেনে নেয় নাই। তার নিজেদের সুবিধা নেয়ার জন্য সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন করল। এমনকি সংবিধানে সত্তর (৭০) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল।

কিন্তু তারা সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারথ ব্যাবস্থা অন্তর্ভুক্ত করল না। ফলে আবারও ১৯৯৬ সালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন করতে হল।

এরপর ২০০৭/৮ সালে তৎকালীন কেয়ারটেকার সরকার শাসনতন্ত্রে যথেষ্টসংখ্যক পজিটিভ সংস্কার আনেন। ভোটার আইডির প্রবর্তন করে। এরপর  দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার করে দেশে আইনশৃংখলা ফিরিয়ে আনে। দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে দুর্নীতি কমা শুরু করেছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর নির্বাচিত আওয়ামীলীগ সরকার  বিভিন্ন আইন করে দুদক কে দলীয় সরকারের দাসে পরিনত করে। এরপর পরাধীন বিচারব্যাবস্থ কাজে লাগিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়।

কাজেই কেয়ারটেকার সরকারকেই সংবিধানের সংস্কার করে, নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। প্রয়োজনে সংবিধানের সংস্কারের পর গনভোটের মাধ্যমে সংস্কার এপ্রুভ করে নিতে হবে।



Scroll to Top