ভোটের অধিকার আগে চাই। নির্বাচন পরে হবে।

ভোটের অধিকার আগে চাই। নির্বাচন পরে হবে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আমরা দেখছি ; জনগনের ভোটের অধিকার নিয়ে সবসময় একটা প্রতারনা বা ইলেকশন ইন্জিনিয়ারিং নামের কুটকৌশল চলে।

ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রীর বা প্রেসিডেন্টের জন্য পাঁচ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা উচিত নয় এমন প্রস্তাবনার পেছনে যুক্তি হলো দীর্ঘকালীন ক্ষমতা পরিচালনার সময় অসাধু কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তর বাধ্যতামূলক করা হলে, রাজনৈতিক নেতা সহজে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে পারবেন না এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের দীর্ঘকালীন ক্ষমতা সাধারণত স্বেচ্ছাচারিতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে তারা জনগণের স্বার্থের পরিবর্তে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে শুরু করে। এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতা ধারনের ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এই কারণে, নির্বাচনী ব্যবস্থায় জালিয়াতি, ভোট চুরি এবং অন্যান্য অসদুপায়ের সম্ভাবনা বাড়ে, যা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

পাঁচ বছরের সীমাবদ্ধতা নিশ্চিত করে যে, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা পুনঃনির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে চলে আসবে। এটি রাজনৈতিক নেতাদেরকে তাদের দায়িত্বের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী করে তোলে এবং তাদের জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে উৎসাহিত করে।

এই সীমাবদ্ধতা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি নতুন নেতার আসা একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিকল্পনা নিয়ে আসে যা জাতীয় সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতা সময়কালে, একটি নেতার অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি বা দুর্নীতির কারণে জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

অতএব, একটি কার্যকর গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে, পাঁচ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় না থাকার প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করা জরুরি। এটি সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের বিশ্বাস অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের উচিত একটি শক্তিশালী এবং গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই সীমাবদ্ধতা বাস্তবায়ন করা এবং সবার স্বার্থ রক্ষা করা।

Scroll to Top